নারায়ণগঞ্জ টিভিঃ শ্রমিকের শহর নারায়ণগঞ্জ। নয় বছর আগের আদম শুমারি অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জনসংখ্যা ছিলো ১৩ লাখ ২৩ হাজার। বর্তমানে তা বিশ লাখেরও বেশি বলে মনে করা হয়। গার্মেন্ট শ্রমিকদের একটি সংগঠনের সার্ভে অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জনসংখ্যার আশি ভাগই শ্রমিক। বিশাল এ শ্রমজীবি সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই এসেছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। করোনার কারনে নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকদের কাজ নেই। কাজ নেই মানে আয় নেই। তার মানে নেই খাবারসহ প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটানোর মতো অর্থ। এ পরিস্থিতিতে ত্রানের জন্য ছুটছেন শ্রমিকরা। বেসরকারিভাবে অনেকেই দাড়িয়েছেন দরিদ্রদের পাশে। দিচ্ছেন ত্রান। কিন্তু অন্য জেলার শ্রমিকরা সরকারি ত্রান পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাগলা এলাকাটি পড়েছে কুতুবপুর ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার। জনসংখ্যা পাঁচ লাখেরও বেশি। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু জানান, ত্রান প্রত্যাশী মানুষের তুলনায় সরকারি বরাদ্দের পরিমান খুব কম। এ কারনে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
শুধু কুতুবপুর ইউনিয়ন নয়, নারায়ণগঞ্জের সব স্থানেই চাহিদার তুলনায় সরকারি ত্রান বরাদ্দের পরিমান খুবই কম।
অন্য জেলা থেকে আসা শ্রমিক হওয়ায় ত্রান না পাওয়ার অভিযোগটিও পাওয়া যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ শিল্পাঞ্চলের সর্বত্রই । এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জানান, ত্রান বিতরনের ক্ষেত্রে স্থানীয়-অস্থানীয় যাতে বিবেচনা করা না হয় সে ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রিপোর্টঃ শরীফ উদ্দিন সবুজ, ২৩-৪-২০২০।
ক্যামেরায়ঃ সাজিত হোসেন সজিত