নারায়ণগঞ্জ টিভিঃ কোরবানী দিতে হলে অন্য মানুষের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকে। কোরবানীর মাংস বিলির সময়ও একই সম্ভাবনা থাকে। এসব সম্ভাবনার কারনে অনেকে কোরবানী দেবেন না বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব মত দিচ্ছেন। কোনো কোনো অভিজাত এলাকার বাসিন্দারা ঐ স্থানে কোরবানী না দেয়ার ব্যাপারে যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন নির্দেশনার কাগজও ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে। এমন একটি কাগজে নির্দিষ্ট ঐ অভিজাত আবাসিক এলাকায় কোরবানী না দিয়ে গ্রামের বাড়িতে, আত্মীয় স্বজনের মারফত, মাদ্রাসা বা এতিমখানা ও অনলাইন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোরবানী দেয়াকে বিকল্প হিসেবে দেখানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ জানতে চাচ্ছেন কোরাবানীর জন্য রাখা টাকা দান করে দিলে কোরবানী হবে কিনা। এ প্রসঙ্গে জানতে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম নারায়ণগঞ্জের তিন বিশিষ্ট আলেম ডিআইটি মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের লিজেন্স মালানা আব্দুল মোস্তফা রাহিম আল আজহারি ও চারারগোপে অবস্থিত বিশ্বওলি খাজা বাবা ফরিদপুরি মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মুশফিকুর রহমানের সাথে। তারা তিনজনই প্রায় এক বাক্যে বলেছেন, সামর্থ্যবানদের কোরবানী দিতে হবে। কোরবানীর বদলে টাকা দিলে হবেনা। তবে কেউ যুক্তভাবে অন্যের সাথে কোরবানী দিতে পারবে। শোনা যাক তাদের কথা। #
রিপোর্টঃ শরীফ উদ্দিন সবুজ, ৯-৭-২০২০।
ক্যামেরায়ঃ মঈন উদ্দিন