নারায়ণগঞ্জ টিভিঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার ইসদাইর টাগার পাড় এলাকায় বদ্ধ ঘরে আটকে থাকা গ্যাসে আগুন লেগে এক নারী ও তার পাঁচ বছর বয়সী শিশু সন্তান অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাষ্টক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। টাগার পাড় এলাকার মোহাম্মদ সারোয়ারের ভাড়া দেয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ নার্গিস আক্তারের স্বামী অটোরিক্সা চালক মনির হোসেন জানান, দিনে তাদের এলাকায় গ্যাসের চাপ থাকেনা। তাই গভীর রাতে এ বাড়ির বিভিন্ন কক্ষের ভাড়াটিয়ারা রান্না করে। রাত দুইটায় গ্যাসের চাপ বাড়লে বাড়ির কয়েক জন গৃহবধূরা রান্নার কাজ শুরু করেন। তবে মনিরে হোসেনের স্ত্রী নারগিস বেগম তাদের একমাত্র সন্তান মরিয়মকে নিয়ে তাদের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। মনির হোসেনের ধারনা তাদের চুলার চাবি খোলা ছিলো। রাতে গ্যাসের চাপ বাড়ার ফলে গ্যাস বের হয়ে তাদের ঘর ভরে যায়। এসময় পাশের ঘরে রান্না করার সময় সেখানকার গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে তার ঘরে আগুন ধরে যায়। আগুনে ঘরের সব আসবাবপত্র পুড়ে যায়। ঘটনার সময় মনির হোসেন বাড়িতে ছিলেন না। তিনি তাবলীগ জামাতের কয়েকজন যাত্রী নিয়ে তাদের পৌছে দিতে গিয়েছিলেন। তবে তাদের বাসায় সিলিন্ডার গ্যাসও ব্যবহার করা হয়। সিলিন্ডার গ্যাস লিক করেও গ্যাস ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে তিনি জানান। প্রতিবেশি জান্নাতী আক্তার ও আমেনা খাতুন জানান, আগুনে ঘুমন্ত নারগিস (২৫) ও তার মেয়ে মরিয়ম (৫) দগ্ধ হয়। তাদের চিৎকার শুনে জান্নাতী আক্তার ও আমেনা খাতুনসহ বাড়ির লোকজন এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভান। পরে দগ্ধ দুইজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, দগ্ধ নারগিসের শরিরের সত্তর ভাগ পুড়ে গেছে। ও মরিয়মের শরিরের পঞ্চান্ন ভাড় পুড়ে গেছে। দুইজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারি পরিচাল ফখরুদ্দিন জানান, ধারণা করা হচ্ছে পাশের রান্না ঘর থেকে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে নির্গত গ্যাস মনিরের ঘরে জমে ছিল। সেই গ্যাস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মা মেয়ে দগ্ধ হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, ফতুল্লায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ মা মেয়েকে শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। মায়ের অবস্থা আশংঙ্কা জনক।

# শরীফ উদ্দিন সবুজ