নারায়ণগঞ্জ টিভিঃ সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দুই হেভি ওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিস। সাধারন মানুষ মনে করছেন ধর্মভিত্তিক এ দল দুইটি নিজেদের সমর্থকদের ভোটটি তারা নিজেদের প্রার্থী পর্যন্ত আনতে পেরেছেন। যেটি নারায়ণগঞ্জের বাম নেতারা পারেননি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ ২৩ হাজার ৯৮৭ ভোট পান। এছাড়া খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন ১০ হাজার ৭২৪ ভোট পান। শুধু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেই না ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও উল্লেখ করার মতো ভোট পেয়েছে চরমোনাই পীরের মুরিদদের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাদের প্রার্থী ওমর ফারুক ১৩,৭০০ ভোট, এনায়েতনগর ইউনিয়নে আব্দুস সালাম ৭০০০ ভোট ও ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে তাদের প্রার্থী শাজাহান আলী ১৫,০৮০ ভোট পান। নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশেপাশের ইউনিয়নগুলিতে ধর্মভিত্তিক দলের এ শক্তিশালী অবস্থান অতীতে কখনো দেখা যায়নি। ১৯৯১ সালে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এমপি পদে জামাতে ইসলামী ৫৫৮২ ভোট পায়। পরের নির্বাচনে তাদের ভোট আরো কমে যায়।
বাম দলগুলির মধ্যে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), কমিউনিষ্ট পার্টির মতো দলগুলি নারায়ণগঞ্জে সক্রিয়। কিন্তু অতীতে এমপি পদে বাম দলগুলির ভোট ছিলো নগণ্য। মেয়র পদে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায়নি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে কাউন্সিলর পদে বাসদ নেতা অসিত বরণ বিশ্বাস জয়ী হয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কোনো বামদলের প্রার্থী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেননি। নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট জনেরা মনে করছেন, বামেরা নিজেদের ভুল কৌশলের কারনেই ভোটের রাজনীতিতে ব্যার্থ হচ্ছেন।
তবে বাম নেতারা মনে করছেন নির্বাচন বিষয়ে সরকারের নীতির কারনে তারা পিছিয়ে যাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনের ফলাফল ডান নেতাদের আরো আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
নব্বই এর গণ অভ্যুত্থানের পরে অনুষ্ঠিত ১৯৯১ এর নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে কমিউনিষ্ট পার্টির এমপি প্রার্থী মন্টু ঘোষ পান ২৯৬ ভোট। এ নির্বাচনে বিএনপি’র আবুল কালাম ৫৩ হাজার ৩০০ ভোট পেয়ে এমপি হন। ১৯৯৬ এর নির্বাচনে মন্টু ঘোষ পান ৩৫৫ ভোট। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের এস এম আকরাম ৫৮ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে মন্টু ঘোষ ১হাজার৫৩৮ ভোট, বাসদের আবু নাঈম খান বিপ্লব ৮২৭ ভোট, গন ফোরামের জহির উদ্দিন ১৯৪ ভোট পান। এ নির্বাচনে নাসিম ওসমান ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬৫১ ভোট পেয়ে এমপি হন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী কোনো বাম দলের প্রার্থী নারায়ণগঞ্জের কোনো সংসদ নির্বাচনে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি ভোট পাননি। ১৯৭৩ সালে জাসদ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মশাল প্রতিক নিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ভোট পান। পরে ১৯৮৪ সালে তিনি কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনে না হলেও মেয়র ও ইউপি নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক দুইটি দল এ পরিসংখ্যান বেশ দ্রুত অতিক্রম করেছে। #
শরীফ উদ্দিন সবুজ, নারায়ণগঞ্জ টিভি।
ভিডিও টি শেয়ার করুনখেলা, নাচ, গান ভালো ফলাফলে বাঁধা হয়নি তাদেরশরীফ উদ্দিন সবুজ, নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলের ছাত্রী আতিফা আফরিন। চার বছর আগে নাচে স্কলারশীপ নিয়ে তুরস্কে গিয়েছিলো। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত...
ভিডিও টি শেয়ার করুনরোগিদের প্রতি মমতার দৃষ্টির আহŸান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জে সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। “বিশ্ব হসপিস প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস ২০২২” উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রকল্পের উদোগ্যে এই সাইকেল বিস্তারিত...
নারায়ণগঞ্জ টিভি: নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব। ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন শত শত রোগী। এই বছর ডায়রিয়া যে শুধু আগেভাগেই শুরু হয়েছে তাই নয়, রোগীর সংখ্যাও আগের বিস্তারিত...
ভিডিও টি শেয়ার করুননারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রিমন নামের দশ বছর বয়সের একটি শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনার মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। রবিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বিস্তারিত...