নারায়ণগঞ্জ টিভিঃ নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানবীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ১১০ মাসে বিচারের দাবিতে আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। প্রতি মাসের মত (৮ মে) সন্ধায় নগরীর ২ নং রেল গেইট এলাকার আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগারে এই আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। এসময় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা উল্লেখ করে গ্রেফতারের দাবী জানান বক্তারা।

ভবানী সংকর রায়ের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, সদস্যসচিব কবি হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এডঃ মাহবুবুর রহমান মাসুম, খেলাঘর আসরের সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি হাফিজুর রহমান, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, সমমাননার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন প্রমুখ।

বক্তব্যে রফিউর রাব্বি বলেন, নয় বছরের বেশি সময় আাগে ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু হত্যার সমস্ত রহস্য উদঘাটন করে এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করা হয় নাই। প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে চাই, ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে নাকী হয় নাই? যদি হত্যা করা হয়ে থাকে তাহলে একটি হত্যাকান্ডের বিচার কীভাবে বন্ধ হয়ে থাকে? তারপর আপনি বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। আপনি যদি বলেন, সরকারি দলের কেউ অপরাধ সংঘটিত করলে তার বিচার হবে না, তাহলে আমরা বিচার চাইবো না, অন্য পথ অবলম্বন করবো। শিশু হত্যাকারীদের ঘৃণ্য জীব বলেন আবার ত্বকী হত্যাকারীদের পুরষ্কৃত করেন। এইটা কীভাবে সম্ভব! বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতের ঘোষণা রয়েছে সংবিধানে। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার শপথ গ্রহন করে ক্ষমতায় বসেছেন। আবার প্রতি পদে পদে শপথ বঙ্গ করছেন।